স্মারকনোট এবং বাংলাদেশের ইতিহাস
স্মারক কথাটি এসেছে স্মরণ করা থেকে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিষয়, ব্যক্তিত্ব স্মরণ করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও রাষ্ট্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে ডাকটিকেট, নোট, মুদ্রা প্রকাশ করে থাকে। সাধারণ নোটের ক্ষেত্রে এসব নোট লেনদেন এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয় তবে স্মারক নোট লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয় না শুধু আগ্রহী সংগ্রাহকগণই স্মারক নোট সংগ্রহ করেন। প্রত্যেকটি স্মারক নোট এবং মুদ্রা প্রকাশের পেছনে বিশেষ কোন ঘটনা, বিষয় কিংবা ব্যক্তিত্ব কে স্মরণ করার ইচ্ছা থাকে। স্মারক নোটের মাধ্যমে ইতিহাসকেও ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়।
স্মারকনোট
বিজয় দিবসের রজত জয়ন্তী ১৯৯৬
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী হিসেবে ১০ টাকার স্মারক নোট বের করে। যার সামনে রয়েছে টাঙ্গাইলের আতিয়া জামে মসজিদ ও পিছনে রয়েছে কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী হিসেবে ১০ টাকার স্মারক নোট বের করে। যার সামনে রয়েছে টাঙ্গাইলের আতিয়া জামে মসজিদ ও পিছনে রয়েছে কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে।
বিজয়ের ৪০ বছর ২০১১
২০১১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪০ টাকার স্মারক নোট বের করে। এই নোটের সামনের পিঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি এবং পেছনের পিঠে ছয় জন সেনানায়কের ছবি যুক্ত করা রয়েছে।
আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে ইলেক্ট্রোটাইপ ১০ এর জলছাপ রয়েছে যার অর্থ- ১০টাকার অতিরিক্ত নোটগুলোর কাগজ দিয়ে এটি বানানো হয়েছে। গাঢ় লাল রঙ, কমলা রঙ এবং সবুজ রঙের সমাহারে বানানো এ নোট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ১২২ মি.মি. ও ৬০ মি.মি.।
২০১১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪০ টাকার স্মারক নোট বের করে। এই নোটের সামনের পিঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি এবং পেছনের পিঠে ছয় জন সেনানায়কের ছবি যুক্ত করা রয়েছে।
আরেকটি বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে ইলেক্ট্রোটাইপ ১০ এর জলছাপ রয়েছে যার অর্থ- ১০টাকার অতিরিক্ত নোটগুলোর কাগজ দিয়ে এটি বানানো হয়েছে। গাঢ় লাল রঙ, কমলা রঙ এবং সবুজ রঙের সমাহারে বানানো এ নোট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে ১২২ মি.মি. ও ৬০ মি.মি.।
ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর ২০১২
২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর উপলক্ষে প্রকাশিত ৬০ টাকা সমমূল্যের স্মারক নোট। এর মূখ্য পিঠে রয়েছে শহীদ মিনারের ছবি এবং গৌণ পিঠে রয়েছে ভাষা আন্দোলনে শহীদ ৫ জন শহীদের প্রতিকৃতি।
১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখ বুধবার ভাষা সৈনিক মুর্তজা বশীর আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারক নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অবমুক্ত করে। নোটটির ডিজাইন করেছে ডিজাইন এডভাইজারি কমিটির সদস্য ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশনের চিত্রশিল্পীগণ।
২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর উপলক্ষে প্রকাশিত ৬০ টাকা সমমূল্যের স্মারক নোট। এর মূখ্য পিঠে রয়েছে শহীদ মিনারের ছবি এবং গৌণ পিঠে রয়েছে ভাষা আন্দোলনে শহীদ ৫ জন শহীদের প্রতিকৃতি।
১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখ বুধবার ভাষা সৈনিক মুর্তজা বশীর আনুষ্ঠানিকভাবে স্মারক নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংক হতে অবমুক্ত করে। নোটটির ডিজাইন করেছে ডিজাইন এডভাইজারি কমিটির সদস্য ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশনের চিত্রশিল্পীগণ।
সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস রজত জয়ন্তী ২০১৩
২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারিতে ‘দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড’ এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ টাকার স্মারক নোট বের করে।
২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারিতে ‘দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড’ এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ টাকার স্মারক নোট বের করে।
নীল, বেগুনী এবং লালের সমাহারে তৈরি এ নোটের সামনের দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি, বাংলাদেশের পূর্ববর্তী টাকার ডিজাইন এবং ব্যবহৃত স্ট্যাম্পস, তিনটি হরিণ এবং একটি দোয়েল পাখি।
এর অপর পৃষ্ঠে রয়েছে সিকিউরিটি প্রিন্টিং অফিসের হেডকোয়ার্টারের ছবি। আর এই নোটে ছিল ইলেক্ট্রোটাইপ ১০ এর জলছাপ, অর্থাৎ ১০ টাকা ব্যাংক নোটের অতিরিক্ত কাগজে এটি মুদ্রিত। দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে এটি যথাক্রমে ১২৩ মি.মি. এবং ৬০ মি.মি.।
এর অপর পৃষ্ঠে রয়েছে সিকিউরিটি প্রিন্টিং অফিসের হেডকোয়ার্টারের ছবি। আর এই নোটে ছিল ইলেক্ট্রোটাইপ ১০ এর জলছাপ, অর্থাৎ ১০ টাকা ব্যাংক নোটের অতিরিক্ত কাগজে এটি মুদ্রিত। দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে এটি যথাক্রমে ১২৩ মি.মি. এবং ৬০ মি.মি.।
জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর ২০১৩
আবার ৮ জুলাই, ২০১৩-তে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লাল এবং নীল রঙের সমাহারে স্মারক ১০০ টাকার নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৪০ মি.মি. দৈর্ঘ্য এবং ৬২ মি.মি. প্রস্থের এ নোটের সামনে অষ্টাদশ শতকের অশ্বারোহীর টেরাকোটা ফলক এবং পেছনে জাতীয় জাদুঘরের প্রতিকৃতি মুদ্রিত রয়েছে।
আবার ৮ জুলাই, ২০১৩-তে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লাল এবং নীল রঙের সমাহারে স্মারক ১০০ টাকার নোট বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৪০ মি.মি. দৈর্ঘ্য এবং ৬২ মি.মি. প্রস্থের এ নোটের সামনে অষ্টাদশ শতকের অশ্বারোহীর টেরাকোটা ফলক এবং পেছনে জাতীয় জাদুঘরের প্রতিকৃতি মুদ্রিত রয়েছে।
ডেভেলপিং বাংলাদেশ ২০১৮
২২ মার্চ,২০১৮-তে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ অভিযাত্রার গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশ-মার্চ ২০১৮’ শীর্ষক একটি ৭০ টাকার স্মারক নোট ইস্যু করা হয়।
২২ মার্চ,২০১৮-তে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ অভিযাত্রার গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশ-মার্চ ২০১৮’ শীর্ষক একটি ৭০ টাকার স্মারক নোট ইস্যু করা হয়।
মুদ্রিত স্মারক নোটের ডিজাইন ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত ১৪০মিমি এবং ৬২ মিমি পরিমাপের এ স্মারক নোটের সম্মুখভাগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, জাতীয় স্মৃতি সৌধ, বেতবুনিয়া ভূউপগ্রহ কেন্দ্র, বাংলাদেশের মানচিত্র, বাইনারি সংখ্যা ইত্যাদি মুদ্রিত আছে এবং নোটের ডানদিকে উপরের কর্নারে নোটের মূল্যমান ইংরেজিতে ‘৭০’ এবং নীচের কর্নারে বাংলায় ‘৭০’ মুদ্রিত রয়েছে।
নোটের অপর পিঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ও নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর নকশা মুদ্রিত আছে। উপরের মধ্যভাগে ইংরেজিতে স্মারক নোটের নাম ‘ডেভেলপিং বাংলাদেশ ২০১৮’ লেখা আছে। নোটের বামদিকে উপরের কর্নারে ইংরেজিতে স্মারক নোটের মূল্যমান ‘৭০’ এবং বামদিকে নীচের কর্নারে বাংলায় ‘৭০’ মুদ্রিত রয়েছে।
স্মারক নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের জলছাপ রয়েছে। নোটের সম্মুখভাগে বামদিকে ১০০ টাকা মূল্যমানের নোটের ন্যায় প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। তাছাড়া বহু রংয়ের ইউভি ফাইবার মাইক্রোটেক্সট ইত্যাদি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যও স্মারক নোটটিতে রয়েছে।
স্মারক নোটে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের জলছাপ রয়েছে। নোটের সম্মুখভাগে বামদিকে ১০০ টাকা মূল্যমানের নোটের ন্যায় প্যাঁচানো নিরাপত্তা সুতা রয়েছে। তাছাড়া বহু রংয়ের ইউভি ফাইবার মাইক্রোটেক্সট ইত্যাদি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যও স্মারক নোটটিতে রয়েছে।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চারটি বিশেষ স্মারক মুদ্রা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এগুলো হচ্ছে- স্বর্ণমুদ্রা একটি, স্মারক মুদ্রা একটি, ১০০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট একটি এবং একটি ২০০ টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানিয়েছে, প্রথম বছরে স্মারক ও প্রচলিত- দুই ধরনের ২০০ টাকার নোট থাকবে। দ্বিতীয় বছর থেকে বাজারে স্মারক নোট ছাড়া হবে না, নিয়মিত নোট থাকবে। নিয়মিত নোটেই শুধু লেনদেন করা যায়।
স্মারকমুদ্রাঃ
এগুলো নিয়ে বাংলাদেশে প্রকাশিত স্মারক মুদ্রার সংখ্যা হবে ২১টি। এর আগে বিভিন্ন ঘটনায় ১৭টি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করা হয়েছে।সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৯১ সালে বিজয় দিবসের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি, ১৯৯২ সালে ওলিম্পিক গেমস উপলক্ষে একটি, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা দিবসের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি, একই বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি, ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি, ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি, ২০১১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে একটি, একই বছরে বিশ্বকবি রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি, ২০১১ সালে বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি এবং বিজয় দিবসের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি এবং ২০১৩ সালে জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করা হয়।
এগুলো নিয়ে বাংলাদেশে প্রকাশিত স্মারক মুদ্রার সংখ্যা হবে ২১টি। এর আগে বিভিন্ন ঘটনায় ১৭টি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করা হয়েছে।সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৯১ সালে বিজয় দিবসের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি, ১৯৯২ সালে ওলিম্পিক গেমস উপলক্ষে একটি, ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা দিবসের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি, একই বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি, ১৯৯৮ সালে যমুনা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি, ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি, ২০১১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে একটি, একই বছরে বিশ্বকবি রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি, ২০১১ সালে বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি এবং বিজয় দিবসের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি এবং ২০১৩ সালে জাতীয় জাদুঘরের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করা হয়।
স্মারক মুদ্রাগুলো যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথি বাংলাদেশ ভ্রমণে আসেন, তাদেরকে উপহার হিসেবে দেয়া হয়। বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছেও উপহার হিসেবে পাঠানো হয়।
তথ্যসুত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া
সুমনা ইসলাম
(বিদ্রঃ এই পোস্টে ব্যবহৃত সমস্ত ছবি লেখকের সংগ্রহশালা থেকে নেয়া হয়েছে)
(বিদ্রঃ এই পোস্টে ব্যবহৃত সমস্ত ছবি লেখকের সংগ্রহশালা থেকে নেয়া হয়েছে)
Post a Comment