মানুষগুলা কই যায়?
এই নদীগুলায় কচুরিপানা জন্মায় না, অথচ পানির থেইকাই প্রাণের সৃষ্টি। নদীগুলায় মাছ নাই, অথচ অনেকে কয়, মাঝিরা নৌকা বাইতে বাইতে ক্লান্ত হইলে দুই হাতে ভইরা পানি নিয়া তৃষ্ণা মিটাইতো এক সময়। এত জঞ্জালের ভেতর মানুষও একটা একটা জঞ্জাল, যে এই জঞ্জাল গুলির স্রষ্টা। মানুষের দৌড় দ্যাহে কে! আগে নদীগুলায় পালতোলা নৌকা বৈঠার তালে তালে চলতো, মানুষ ভাবতো। ভাবনার ভারে অনেক দূর ক্লান্ত হইয়া নদী পার হইতো। ঘাটে ফিরা আর বাড়ি যাইতে মন চাইতো না আরও কিছুক্ষণ নদীর লগে প্রকৃতির লগে বাতচিত করতো। এখন মোটর নৌকা চলে মানুষের দৌড়ের গতি বাড়ানোর জন্য । নৌকায় বসা কেউ বিড়ি ধরায়ে টানে, কেউ কানে এয়ারফোন দিয়া গান শোনে, কেউ পানির তীব্র গন্ধের কারনে বারবার উহুআহা করে। শেষমেশ ঘাটে নাইমা কই যাওয়ার লাইগা জানি দৌড় লাগায়।
কোন এক সময় হয়তো এই নদীগুলাও ভরাট কইরা সাড়ি সাড়ি বাড়ি হইবো আর তার মাঝখান দিয়া যাইবো দুইলেনের বড় বড় পিচঢালা রাস্তা যাতে মানুষ আরও জোরে দৌড়ায়। কিন্তু তারা কই যায়? কই যাইতে চায়? নদী মাইরা, প্রকৃতির সাথে বোঝাপড়া না কইরা তারা যেই ভাল থাকার স্বপ্ন দেখতাছে সেইটা কি কহনো সম্ভব?
Post a Comment